অটোবায়োগ্রাফি ২০১৬ এর অক্টোবর, ১০

Originally posted on here

Bismillahir Rahmanir Rohim. I don't know the reason but now a days it is being very forceful to me to me to write my autobiography. For the initial of that I have written on my diary those letters and have captured by my mobile. Of course it should be noted that I have written by my right hand and the mobile camera was on my left hand. Without informing anyone I am fully own-self writing/making this.

অটোবায়োগ্রাফি

At first I want to know you that I am in trouble of selecting the writing language. Which should I use? English or Bengali? আমি বুঝতে পারছিনা কোনটা থেকে লিখলে আমার লেখাটা সাবলীল হবে? সেক্ষেত্রে তাহলে ২ টি ভাষা-ই ব্যবহার করা উচিত, যেমনটা ২ নৌকায় একসাথে পা রাখার মত বলেই বিবেচিত হবে।

কিন্তু হোক! তাতে কী? আমি তো আর কারো জন্য লিখছি না। ভাল লাগছে না তাই লিখছি। ভাল লাগতে হবে তাই লিখছি। লিখার মধ্যে একটি পৈশাচিক আনন্দ না পাওয়া গেলেও অন্তত কিছুক্ষণের জন্য হলেও এক অন্য জগতে বিচরণ করা যায়।


কী লিখছি আমি? অটোবায়োগ্রাফি লিখছি নাকি সাহিত্য? যেটাই হোক! দুটিই যখন সাহিত্যের মধ্যে পড়ে তখন অবচেতনে যা ইচ্ছে তাই লিখা যায়। লিখতে তো আর সমস্যা নেই। যতসব সমস্যা হয় বাস্তবতার জন্য প্রয়োজনীয় লিখা লিখতে গেলে। অলসতা আর অসারতা দুটিই তখন চেপে ধরে। প্রকৃতপক্ষে ব্যবহারিক বাস্তবতা ও তাত্ত্বিক বাস্তবতায় ভিন্নতা রয়েছে। যেমন যুদ্ধ করাটা কষ্টদায়ক হলেও এতে অনেকেই আনন্দ পায়। কিন্তু পরীক্ষার হলে গরু রচনা আসলেও অনেকে লিখতে দ্বিধাবোধ করে।


সেদিনের কথা। বেশ কিছুদিন বললেও ভুল হবে আবার লিকার সময় বিবেচনা করলে এতে যথেষ্ট সময়ও পার হয়েছে বলা হবে। বছরের হিসেব যখন এক হাজারের ঘরে তখন থেকেই আমার পড়াশুনায় হাতে-খড়ি। বলতে গেলে অত্যুক্তি হবে না যে যখনআমি নতুন লিখতে শিখলাম, তখন আমি প্রচুর পরিমাণে লিখতাম। শুধু লিখা-ই নয়, এর পাশাপাশি ছবি অংকন এবং তাতে রঙ লাগানো ইত্যাদিও করতাম। এমনকি যখন বাড়ি যেতাম, তখন যেহেতু আমার নানা ছিলেন টীচার, সেই সুবাদে চক এর অভাব পড়ত না সেখানেও কিংবা বাসায়ও। নানাবাড়ির দেয়ালের প্রতিটি স্থানে আমি তখন লিখতাম। হয়ত কখনো অ,আ,ই,ঈ কিংবা ক,খ,গ,ঘ অথবা কোন ছবি অংকন বা এরকম কিছুই চক-পেন্সিল দিয়ে দেয়ালের গায়ে সাদা অক্ষরে লিখতাম। এরপর কয়েক মাস পর যখন আবারো যেতাম বাড়িতে, তখনও দেখতাম সেই লেখাগুলো মুছে ফেলা হয়নি কিংবা মুছেও যায়নি। অর্থাৎ দিনদিন লেখার জন্য প্রয়োজনীয় জায়গার পরিমাণ দেয়ালে কমছিল।


তখনও স্কুলে ভর্তি হইনি। অর্থাৎ অনেক ছোট যখন, তখন একবার এক ভয়াবহ বন্যা হল। সম্ভবত সেটি ১৯৯৮ সালই হবে। তার আগে নিজের পরিচয়টুকু কেন বাকি থাকবে? আমি আবু ছালেহ্‌ মুহাম্মদ জাকারিয়া যা ইংরেজীতে ABU SALEH MUHAMMAD ZAKARIA এভাবে লিখে থাকি। ১৯৯৫ সালের অক্টোবর মাসের ২০ তারিখ, দিনটি শুক্রবার ছিল। আর হ্যা! ওইদিনই আমার জন্মের দিন হিসেবে বিবেচিত।


নিষ্ঠুরতায় আমি ছোটকাল থেকেই পারদর্শী। কিন্তু শুনেছিলাম, ছোটকালে যে যেমন থাকে বড় হলে সে অবস্থা নাকি পরিবর্তিত হয়ে যায়। আমিও সেদিকটা অবাস্তব দেখছিনা। সেই তো কবেকার কথা! আমি তো এখন একটা মুরগী জবাই করাও দেখতে পারি না অথচ আগে তো কত কিছুই করতে পারতাম বলে মনে হত। অথবা কোথাও কেটে গিয়ে রক্ত বের হলে সেদিকে তাকাতেও মাথা ঝিমঝিম করে। শরৎচন্দ্র বলেছিল, নেশা করলে নাকি মাথা ঝিমঝিম করে। কিন্তু আমি তো করে দেখিনি, তাই বলতেও পারছিনা।


পরাশুনা করার ক্ষেত্রে প্রথমে আমাকে শিখানো হয়েছে কুরআন এর অক্ষর পরিচিতি, লিখা, উচ্চারণ, শব্দ প্টহন ইত্যাদি। এরপর বাংলা ও ইংরেজী। নামতার ক্ষেত্রে আমি গুনের নামতা খুব কমই শিখেছি, মাত্র ১ থেকে ১১ এর ঘর পর্যন্ত। এমনকি এখন পর্যন্ত ১২ পর্যন্ত নামতা মুখস্ত আছে আমার।


যতটা মনে পড়ে, আম্মু আমাকে সারাদিন ধরে পড়াশুনা করাত আর সপ্তাহে একদিন আব্বু ধরত। আম্মুর বচনে আব্বু নাকি বেশি শুদ্ধভাবে পড়তে/পড়াতে পারে। সেজন্য এই ব্যবস্থা ছিল আর কি। এদিকে আব্বুও সারাদিন অফিস শেষ করে এসে অনেক রাতে যখন বাসায় ফিরত এরপরও মাঝে মাঝে অফিসিয়াল কাজ বাসায় বসে করতে করতে রাত অনেক হয়ে যেত। ছোটকাল থেকেই একটা অভ্যাস ছিল যে, আমি প্রথম রাতেই ঘুমিয়ে যেতাম। অর্থাৎ এশার নামাজের পরপরই আমার ঘুমরাজ্যে হারানো ছিল নিত্যদিনের অভ্যাস। আর কখনো ঘুমিয়ে গেলে চারপাশে কি হচ্ছে বা না হচ্ছে সেদিকে কোন লক্ষ্যই থাকত না আমার। একেবারে যাকে বলে মরার মত ঘুমানো।


পরদিন সকালে উঠে ফজরের নামায পড়ে এরপর কুরআন নিয়ে কিছুক্ষণ তিলাওয়াত করা ছিল পারিবারিক রীতি। নয়ত আব্বু কিংবা আম্মু কেও না কেও বকা দিত-ই। সেজন্যই বা কি? আমি আআর কম কিসে? যেহেতু কুরআন পড়তাম, তাই তখন গুনগুন করতাম আর কুরআনের দিকে তাকিয়ে থাকতাম। কারণ পড়তে তো কষ্ট হয় কিন্তু না পড়ে গুণগুণ করলে তো আর পড়তে হয় না, বশ্য প্রায় সময়ই চোখ বন্ধ রেখেই এমন করতাম। আর চোখ বন্ধ থাকলে পড়ব-ই বা কী? কারণ আমি তো আর মুখস্ত পড়তাম না।




Related Posts
Previous
« Prev Post