ক্যান্সার এর লক্ষণ, এর ধরণ ও ক্যান্সারের কারণ

Originally posted on here

কিন্তু যখন শরীরের কিছু অংশে কোষ পূনরূৎপাদন অনিয়ন্ত্রিত ভাবে চলে তখন সেখানে একটি কঠিন টিউমার তৈরী হয়। এটা হচ্ছে ক্যান্সার। ক্যান্সার যথাসময় ধরা গেলে তা চিকিৎসায় সুস্থ্য হওয়ার বড় সম্ভাবনা রয়েছে, তাই নিয়মিত মেডিকেল চেকআপ করা উচিত।
ক্যান্সার কী এবং ক্যান্সার সারাতে যা করতে হবে

ক্যান্সার যথাসময় ধরা গেলে তা চিকিৎসায় সুস্থ্য হওয়ার সময়হ সম্ভাবনা রয়েছে, তাই নিয়মিত মেডিকেল চেকআপ করা উচিত।

ক্যান্সার একটি মারাত্মক ব্যাধি যা সময়মত চিকিৎসা না করলে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। সুসময়ে এর চিকিৎসা রোগীকে ভালভাবে সারিয়ে তুলতে পারে। ক্যান্সার কী এবং এর উপসর্গ কী তা এখানে দেখুন। ক্যান্সারের লক্ষণ, ধরণ ও কারণ বর্ণনা করা হয়েছে। ক্যান্সার সম্পর্কে সতর্ক হোন। সূখী সমৃদ্ধ ও সাবলীল পরিবার গড়ে তুলুন। ক্যান্সারের চিকিৎসা কী তা এখানে দেখুন।



ক্যান্সারের সতর্কতামূলক নিদর্শনঃ
→ কোন উপযুক্ত কারণ ছাড়াই ওজনহ্রাস।
→ ত্বকে আলসার, কালশিটে বা বিবর্ণতা যা ৩ সপ্তাহ পরেও দূর হয়না।
→ ত্বকে স্পট পড়া এবং ক্রমে তা থেকে রক্ত ঝরা।
→ নিয়মিত মাথা ব্যথা।
→ খাবার গ্রহণে কষ্ট অনুভব হওয়া।
→ গলা কর্কশ হয়ে যাওয়া।
→ কফের সাথে রক্ত পড়া, শ্বাসকষ্ট হওয়া।
→ পেট ব্যথা হওয়া।
→ টেস্টিকলের আকার পরিবর্তন হয়ে যাওয়া।
→ ব্যথা ছাড়াই প্রস্রাবের সাথে রক্ত পড়া।
→ ইন্টেস্টিন্যাল অভ্যাস পরিবর্তন হয়ে যাওয়া (বাথরুমে যাওয়ার সময়)।
→ স্তনের (এর স্ফীত অংশ) আকার পরিবর্তন হয়ে যাওয়া।
→ নিপল (স্তনবৃন্ত) থেকে রক্ত পড়া বা দুধ বের হওয়া।
→ যোনীপথে মাসিকচক্রের বাইরের সময়েও রক্ত পড়া।



ক্যান্সারের ধরণঃ
সারসিনোমাসঃ প্রধানত ত্বক, মিউকাস মেমব্রেন এবং গ্রন্থিসমূহে আক্রমণ করে।
লিউকেমিয়াঃ রক্তে যে ক্যান্সার হয় (ব্লাড ক্যান্সার)।
সারকোমাসঃ প্রধানত পেশী, স্তন, কানেকটিভ টিস্যু এবং হাড়ে প্রতিক্রিয়া করে থাকে।
লিপো-সারকোমাসঃ এটি ফ্যাটি টিস্যুর একটি মারাত্মক টিউমার যা সাধারণত এবডোমেন এ হয়। লিপোমা একটি মৃদু টিউমার।



ক্যান্সারের কারণঃ
ক্যান্সারের কারণ ভালভাবে জানা যায়নি। কিন্তু এটা নিশ্চিত যে কিছু কেমিক্যাল এজেন্ট, ধুমপান, অতিরিক্ত সূর্যালোক, এক্স-রে এর প্রভাব, কিছু খাদ্য, পরিবেশ ও বংশ গত প্রভাবের কারণে ক্যান্সার এর সূচনা হয়।

এছাড়াও কিছু কারণ হলঃ
→ মানসিক চাপ।
→ অপর্যাপ্ত পুষ্টিঃ খাদ্যের কিছু উপদান এর মাধ্যমে মানব শরীর গঠন, পূনর্গঠন এবং শক্তিশালী হয়। সঠিক পরিমাণে খাবার ক্যান্সার রোগীর মেটাবোলিক ভারসাম্য রক্ষা করে এবং সারিএ তুলতে সাহায্য করে।
→ ব্যায়ামের অভাবঃ ব্যাম করলে নার্ভাস সিস্টেম শক্তিশালী হয়। গ্লুকোজ সুস্থিত হয় এবং লসিকাসমূহকে ডিটক্সিফাই করে।


পরিশেষে ক্যান্সার সম্পর্কে সচেত্ন হয়ে ক্যান্সারের আক্রান্ত হওয়ার আগেই আমাদের প্রতিরোধ গড়ে তোলা উচিত। কারণ চিকিৎসার চেয়ে প্রতিকার বেশি ভাল ফলদায়ক।


Related Posts
Previous
« Prev Post