হৃদরোগ সারাবেন যেভাবে

Originally posted on here

আমরা সবাই জানি যে হৃৎপিণ্ড হলো আমাদের রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থার সব থেকে গুরুত্ত্বপুর্ণ অঙ্গ। প্রত্যেকটি দিন আমাদের হৃৎপিণ্ড এক লক্ষ বারের বেশি সংকুচিত হয়ে, ২৫ হাজার গ্যালন পরিমান রক্ত প্রায় ৬০ হাজার মাইল দূরত্ব সমান শিরা উপশিরার মধ্যদিয়ে পরিবহন করে। এক কথায়, পুষ্টি পরিবহন, অক্সিজেন পরিবহন, কার্বন ডাই অক্সাইড নিষ্কাশন এবং বর্জ পরিবহনের যে উদাহরণ গুলো আমরা দেখলাম, তার সব গুলোই এই হৃৎপিণ্ডের কারণেই সম্ভব হচ্ছে।
আমরা সবাই জানি যে হৃৎপিণ্ড হলো আমাদের রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থার সব থেকে গুরুত্ত্বপুর্ণ অঙ্গ। প্রত্যেকটি দিন আমাদের হৃৎপিণ্ড এক লক্ষ বারের বেশি সংকুচিত হয়ে, ২৫ হাজার গ্যালন পরিমান রক্ত প্রায় ৬০ হাজার মাইল দূরত্ব সমান শিরা উপশিরার মধ্যদিয়ে পরিবহন করে। এক কথায়, পুষ্টি পরিবহন, অক্সিজেন পরিবহন, কার্বন ডাই অক্সাইড নিষ্কাশন এবং বর্জ পরিবহনের যে উদাহরণ গুলো আমরা দেখলাম, তার সব গুলোই এই হৃৎপিণ্ডের কারণেই সম্ভব হচ্ছে।

হৃদরোগ কীভাবে সারাবেন

কিন্তু হঠাত হৃদপিন্ড দূর্বল হয়ে পড়লে কিংবা হৃদপিন্ডের কোথাও ব্লক দেখা দিলে তাৎক্ষণিক হৈ-হুল্লোড় করার আর কোন ভয় নেই। কারণ এখন প্রাকৃতিকভাবে আমাদের আছে আছে ২ টি প্রোডাক্ট যা ব্যবহার করে ইংশা আল্লাহ ২ মাসের মধ্যেই হৃদপিন্ডের সকল দূর্বলতা সম্পূর্ণরূপে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।

১. ARGI+

২. FOREVER ARCTIC-SEA

এবারে আসুন দেখি আরজি প্লাস কিভাবে আমাদের হৃৎপিণ্ড আর রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থার সুস্বাস্থ নিশ্চিত করতে সহায়তা করতে পারে।

আরজি প্লাস, কয়েক ধরণের অতি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপকরণ দিয়ে প্রস্তুত করা হয়। এর মধ্যে প্রথম উপাদান টি হলো আন্টিঅক্সিডেন্ট। ফরেভার লিভিং প্রোডাক্টস এর পণ্য নিয়ে কথা বলতে গেলে আমরা মাঝে মাঝেই এন্টিঅক্সিডেন্ট এর কথা বলি। যারা এ সম্পর্কে একেবারেই জানেন না তাদের জন্যে অতি সংক্ষেপে আমরা বোঝানোর চেষ্টা করছি। বিস্তারিত বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নিয়ে এখানে আমরা কথা বলবো না। প্রতিদিন আমাদের চারপাশের পরিবেশ কে মোকাবিলা করার সময় আমাদের দেহে ক্ষতিকর ফ্রি রেডিক্যাল তৈরি হয়। এক্সরে, সূর্যের তেজস্ক্রিয় রশ্মি, দূষিত বাতাস, কলকারখানার বর্জ, ধুমপান এবং ভাজাপোড়া খাদ্য গ্রহণ ইত্যাদি অনেক কারণেই দেহে ফ্রি রেডিক্যাল তৈরি হয়। এন্টিঅক্সিডেন্ট এর কাজ হলো এই ক্ষতিকর ফ্রী রেডিক্যাল গুলো কে নিষ্ক্রিয় করা যাতে এরা শরীরের আর কোনো ক্ষতি করতে না পারে। প্রচুর পরিমানে তাজা রঙ্গীন শাকসবজি, ফলমূল খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করলে বা এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ পরিপূরক খাদ্য গ্রহণ করে এই ক্ষতিকর ফ্রী রেডিক্যাল এর হাত থেকে স্বাস্থ রক্ষা সম্ভব। এ কারণেই আজকাল স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিতরা এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করার জন্যে এতো তাগিদ দিয়ে থাকেন।

অর্ডার করুন এখানে

এছাড়া আরজি প্লাস এ রয়েছে অনেকগুলো ভিটামিন এর সমাবেশ। এই ভিটামিন গুলো আপনার খাবার এবং আরজি প্লাস থেকে পাওয়া পুষ্টি উপাদান গুলো কে ব্যবহার করতে দেহ কে সাহায্য করে।



সব শেষে আরজি প্লাস এ রয়েছে ৫ গ্রাম খাঁটি আর্জেনিন। আর্জেনিন মানব দেহের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আরজি প্লাস এর প্রধান উপাদান হলো আর্জেনিন এবং সেখান থেকেই এই পণ্যটির নাম হয়েছে আরজি প্লাস। ‘প্লাস’ বলা হচ্ছে কারণ এতে আর্জি ছাড়াও অনেকগুলো ভিটামিন রয়েছে।



আর্জেনিন দেহ কোষ বিভাজনে ভূমিকা রাখে, ক্ষত সারাতে সহায়তা করে, দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কে শক্তি যোগায় এবং হরমোন নিঃসরনে সাহায্য করে। আর্জেনিন একটি অর্ধ অত্যাবশকীয় এমিনো এসিড। যার অর্থ হলো যে আপনার স্বাস্থ কেমন এবং আপনার বয়স কত, তার উপর ভিত্তি করে, এটিকে অত্যাবশ্যকীয় বা অত্যাবশ্যকীয় নয় বিবেচনা করা হবে।



আমরা যে প্রোটিন জাতীয় খাবার খাই, তার শতকরা ২০ থেকে ৪০ ভাগ আমাদের দেহের মধ্যে কত গুলো এমাইনো এসিডএ পরিণত হয়। আর্জেনিনও এদের মধ্যে একটি এমাইনো এসিড। অর্থাৎ অর্জনীন প্রাকৃতিকভাবেই আমাদের দেহে তৈরি হয়। এই আর্জেনিন এর পরে দেহের মধ্যে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে ভেঙে গিয়ে নাইট্রিক অক্সিডে এ পরিণত হয়।



এবারে আসুন আমরা বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখি কিভাবে এই নাইট্রিক অক্সাইড আমাদের স্বাস্থ্যের উপকার করে। আর্জেনিন থেকে শরীরের মধ্যে যে নাইট্রিক অক্সিড তৈরি হয় তা আমাদের দেহের রক্তবাহী নালিকা বা শিরা/উপশিরা গুলোর পেশিগুলোকে আরাম অবস্থায় বা রিলাক্স অবস্থায় নিয়ে যায়, বিশেষ করে ফুসফুস এর রক্তবাহি নালিকার মধ্যে এই ঘটনা টি ঘটে। ফলে রক্ত নালিকা গুলো চওড়া বা মোটা হয়ে পরে। চওড়া নালী দিয়ে অধিক রক্ত প্রবাহিত হতে পারে এবং সে কারণে রক্ত চাপ বা ব্লাড প্রেসার কমে আসে। আর দেহের রক্ত নালিকাগুলো চওড়া হয়ে গেলে, তার ভেতর দিয়ে বেশি রক্ত প্রবাহিত হয়ে বেশি পুষ্টি দেহকোষের কাছে পৌঁছে দেয়, বেশি অক্সিজেন পৌঁছে দেয়, বেশি কার্বন ডাই অক্সাইড এবং বেশি বর্জ দেহ থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে। ফলে শরীর চনমনে হয়ে ওঠে।



আমাদের হৃৎপিণ্ডের পেশির মধ্যেও এর প্রভাব পরে সরাসরি। চর্বি জমে রক্ত নালিকা গুলো সরু হয়ে গেলে, হৃৎপিণ্ডর পেশী যথেষ্ট পরিমান পুষ্টি এবং অক্সিজেন পায় না। এর ফলে পেশী দুর্বল হয়ে পরে। সহজ ভাষায় যার অন্য নাম হলো হৃদরোগ। এমন অসুস্থ হৃৎপিণ্ড আপনার সারা দেহের মধ্যে যথেষ্ট রক্ত প্রবাহ সচল রাখতে পারে না। ফলে সারা দেহ জুড়ে বিভিন্ন অসুবিধা দেখা দেয়। আরজি প্লাস যেহেতু সরু রক্ত নালীগুলোকে মোটা করে বেশি রক্ত চলাচলের পথ করে দেয়, তাতে হৃদপেশি অধিক পুষ্টি এবং অক্সিজেন পেয়ে সবল হয়ে ওঠে। বেশি রক্ত প্রবাহিত হলে জমে থাকা কোলেস্টোরলও আংশিকভাবে ক্ষয়ে যায় এবং রক্ত নালীর মধ্যে রক্ত জমাট বাধার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। ফলে হার্ট এট্যাক এর ঝুঁকি কমে আসে।



আপনারা ডক্টর ফেরিড মুরাড, যার ছবি এখন আপনারা দেখছেন, তার নাম আমাদের মুখে আগেও শুনে থাকবেন হয়তো । তিনি ১৯৯৮ সালে মানব দেহে নাইট্রিক অক্সাইড এর প্রভাব বিষয়ে গবেষণা করে চিকিৎসা/শরীরবিদ্যা বিভাগে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন। তিনি বছর কয়েক আগে আমাদের কোম্পানির একজন উর্ধতন কর্মকর্তা স্টিভ হাচেট এর সাথে নাইট্রিক অক্সাইড এর গুণাবলী নিয়ে কথা বলে তা ভিডিও করে সকলকে দেখার জন্য উপহার দিয়েছিলেন। ডক্টর মুরাড আরজি প্লাস প্রস্তুতপ্রণালী প্রণয়ন গবেষণায় অংশ নিয়েছিলেন এবং সে কারণে আমরা নির্ভাবনায় আরজি প্লাস কে নোবেল প্রাইজ অনুমোদিত বলে দাবি করি।



নাইট্রিক অক্সাইড এর প্রভাব নিয়ে ডক্টর মুরাড ছাড়াও আরো অনেকে অনেক গবেষণা করেছেন। এই ছবিতে তাদের কিছু আপনাদের জ্ঞাতার্থে তুলে ধরা হলো। এক কথায় নাইট্রিক অক্সাইড এর উপকারিতা সম্বন্ধে এখন আর প্রশ্ন বা সন্দেহ করার কোনো অবকাশ নেই।



সারমর্ম হচ্ছে যে অর্জনীন, ভিটামিন এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট সমন্বয়ে প্রস্তুতকৃত আরজি প্লাস আপনার হৃৎপিণ্ড এবং রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থার স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অত্যন্ত কার্যকরী। এছাড়াও মস্তিষ্কর অভন্তরীন কর্ম কাণ্ডে সহায়তা করে, আন্টিঅক্সিডেন্ট দিয়ে ফ্রী র্রেডিকেল কে নিষ্ক্রিয় করে, কঙ্কাল এবং পেশী গঠনে সহায়তা করে এবং রোগ জীবাণুর বিরুদ্ধে আমাদের দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সূদৃঢ় করে। অধিক রক্ত প্রবাহের মাধ্যমে আরজি প্লাস আমাদের দেহে অধিক পুষ্টি ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করে বলে, দীর্ঘ সময় ধরে আমরা শক্তি বা জোর পাই, এবং সে কারণে শরীর চর্চার পূর্বে আরজি প্লাস ব্যবহার করলে ভালো ফল আশা করা যায়।


Related Posts
Previous
« Prev Post