যেভাবে হৃদরোগ এর ঝুকি এড়াবেন

Originally posted on here

আসুন আমেরিকা বা যুক্ত রাষ্ট্রের কথা বিবেচনা করি। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে সেখানে নারী-মৃত্যুর সর্বপ্রধান কারণ হচ্ছে হৃৎরোগ। আর তৃতীয় বৃহত্তম কারণ হচ্ছে ‘স্ট্রোক’ যেটি হৃৎরোগেরই পরোক্ষ ফলাফল। এবং অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে এক তৃতীয়াংশ মৃত্যুর কারণ হলো হৃদরোগ। প্রতিদিন প্রায় ২২০০ জন লোক মারা যায় এই রোগে আক্রান্ত হয়ে। প্রতি ৩৯ সেকেন্ড এ একজনের মৃত্যুর জন্যে দায়ী এই রোগ। তৃতীয় বিশ্বের দেখগুলোর অবস্থা আরো ভয়ানক। কিন্তু এর কারণ কি? আসুন এবারে সেই দিকে নজর দিই
আসুন আমেরিকা বা যুক্ত রাষ্ট্রের কথা বিবেচনা করি। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে সেখানে নারী-মৃত্যুর সর্বপ্রধান কারণ হচ্ছে হৃৎরোগ। আর তৃতীয় বৃহত্তম কারণ হচ্ছে ‘স্ট্রোক’ যেটি হৃৎরোগেরই পরোক্ষ ফলাফল। এবং অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে এক তৃতীয়াংশ মৃত্যুর কারণ হলো হৃদরোগ। প্রতিদিন প্রায় ২২০০ জন লোক মারা যায় এই রোগে আক্রান্ত হয়ে। প্রতি ৩৯ সেকেন্ড এ একজনের মৃত্যুর জন্যে দায়ী এই রোগ। তৃতীয় বিশ্বের দেখগুলোর অবস্থা আরো ভয়ানক। কিন্তু এর কারণ কি? আসুন এবারে সেই দিকে নজর দিই।


প্রাকৃতিকভাবে হৃদরোগ কীভাবে সারাবেন তা এখানে দেখুন


যেভাবে হৃদরোগ এর ঝুকি এড়াবেন


অতি ব্যস্ত জীবন যাত্রার কারণে আমরা ব্যায়াম করার সুযোগ পাই না, মাত্রাতিরিক্ত মানুষিক চাপের মধ্যে থাকি এবং প্রক্রিয়াজাত খাদ্য খাই যাতে অধিকাংশ সময়েই অপরিহার্য পুষ্টি উপাদান সমূহ থাকে না। ফলে আমাদের স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্থ হয়।



তবে আশার কথা এই যে, হৃৎপিণ্ড এবং রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়ার স্বাস্থ সুরক্ষার জন্য অনেকগুলো পথও রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা সপ্তাহের ৪/৫ দিন, দিনে ৩০ মিনিট করে সক্রিয় জীবন যাপন করেন তারা অধিকতর স্বাস্থবান, সুখী এবং কর্মক্ষম। না না, সক্রিয় থাকার মানে এই নয় যে আপনাকে ব্যায়ামাগারে গিয়ে শরীরচর্চা করতে হবে। ছোট ছোট কাজ যেমন, সুযোগ পেলেই হাটা , কাজের জায়গায় সিঁড়ি দিয়ে ওঠা, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাইসাইকেল চালানো ইত্যাদি, দেহ কে সচল রাখে।



এর সাথে প্রাকৃতিক ভাবে উৎপাদিত খাবার, তাজা শাকসবজি, ভিটামিন এবং খনিজ লবন খেলে দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরা থাকবে এবং অধিক শক্তি যোগাবে।



আর ঘুম। ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত পরিমান ঘুম না পেলে ক্লান্তিতে আপনার দেহ ঝিমিয়ে পড়বে এবং আপনি কর্মশক্তি হীন হয়ে পড়বেন। প্রতি রাত্রে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুম আপনার দেহের ক্লান্তি দূর করে আপনাকে সতেজ এবং পরবর্তী দিনের জন্যে প্রস্তুত করে তুলবে।

এছাড়া ধূমপান থেকে বিরত থাকা, চিনি খাওয়ার পরিমান কমিয়ে আনা এবং চর্বি জাতীয় খাবার কমিয়ে আনার মাধ্যমেও হৃৎপিণ্ড ও রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থার যত্ন নেয়া যায়। প্রক্রিয়াজাত খাবার খেলে, সাথে ভিটামিন এবং খনিজ লবন পরিপূরক খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করেও দেহকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করা যায়।


প্রাকৃতিকভাবে হৃদরোগ কীভাবে সারাবেন তা এখানে দেখুন


এবারে আসুন আমরা আমাদের রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থা সম্পর্কে আরো একটু বিস্তারিত জেনে নিই। এই ব্যবস্থা, হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস, রক্তবাহি নালিকা, শিরা এবং উপশিরা সমন্বয়ে গঠিত। এর কাজ হলো দেহকোষ কে সতেজ রাখা, অঙ্গপ্রতঙ্গ কে পুষ্টি এবং অক্সিজেন সরবরাহ করা, বর্জ সংগ্রহ করে দেহ থেকে তা বের করে দিতে সাহায্য করা ইত্যাদি। যেমন খাবার যখন হজম হতে থাকে, তখন অন্ত্রের মধ্যে দিয়ে রক্ত প্রবাহিত হয়ে পুষ্টি উপাদান সমূহ যেমন শর্করা, আমিষ, ভিটামিন এবং খনিজ লবন ইত্যাদি সংগ্রহ করে এবং বয়ে নিয়ে পৌঁছে দেয় বিভিন্ন অঙ্গ প্রতঙ্গে। আবার ফুসফুসের মধ্যে দিয়ে যখন রক্ত প্রবাহিত হয়, তখন কোষ থেকে বয়ে আনা কার্বন ডাই অক্সাইড বাতাসে ছেড়ে দেয় এবং নিঃশ্বাসের সাথে আমরা যে অক্সিজেন গ্রহণ করি তা শুষে নিয়ে কোষে কোষে পৌঁছে দেয়। একইভাবে রক্ত যখন কিডনির ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়, তখন কোষ থেকে বয়ে আনা বর্জ পদার্থ সমূহ কিডনি রক্ত থেকে ছেঁকে রাখে এবং দেহ থেকে বার করে দেবার ব্যবস্থা করে।


এগুলো হচ্ছে কিছু অতি গুরুত্বপূর্ণ কর্মকান্ড যা আমাদের দেহের জন্ন্যে রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থা সম্পাদন করে থাকে।

Related Posts
Previous
« Prev Post